টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির মাদরাসা শিক্ষার্থী (১০) ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মির্জাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই শিশুর মা।
গত প্রায় ২৫ দিন আগে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের একটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটলেও গ্রাম্য সালিশে অর্থদণ্ডের মাধ্যমে সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ।
বের হয়েছিলেন তারাবি পড়তে, পুকুর পাশে মিলল স্কুলছাত্রের লাশবের হয়েছিলেন তারাবি পড়তে, পুকুর পাশে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ
শিশুটির মা বলেন, ঘটনার দিন তার মেয়ে নিকটস্থ নানার বাড়ি বড়ই পারতে গিয়েছিল। তখন ওই গ্রামের ফিরোজ মিয়া (৪৫) শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে একটি টয়লেটের ভেতর ধর্ষণ করে। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করায় তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে তার সাথে হওয়া ঘটনার বর্ণনা দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে মালেক, বাবুল ও ফাজুসহ কয়েকজন মাতাব্বর বিষয়টি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছিলেন না। মাতাব্বররা শাস্তি হিসেবে ধর্ষককে ১০ বার জুতাপেটা ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে। বিচার শেষে নগদ ৯২ হাজার টাকা ও একমাস পরে বাকি ৫৮ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিশুটির মা কোনো টাকা বুঝে পাননি।
ধর্ষকদের ঘৃণা করুন ও সামাজিকভাবে বয়কট করুন: জামায়াতের আমিরধর্ষকদের ঘৃণা করুন ও সামাজিকভাবে বয়কট করুন: জামায়াতের আমির
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনা জানার পরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।