ghatail.com
ঢাকা শনিবার, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ / ১০ জুন, ২০২৩
ghatail.com
yummys

‘সন্তান দুটিকে আলাদা শরীরে দেখতে চাই’


ghatail.com
অনলাইন ডেস্ক, ঘাটাইলডটকম
১৫ মে, ২০২৩ / ৬২ বার পঠিত
‘সন্তান দুটিকে আলাদা শরীরে দেখতে চাই’

টাঙ্গাইলে জোড়া লাগা যমজ দুই শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে শিশু দুটি স্বাভাবিক নয়, বুকে জোড়া লাগানো। আরিফ-সুমাইয়া দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া ঐ দুই শিশুর চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবারটি।
ঐ দুই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে হাসান-হোসেন।

সম্প্রতি টাঙ্গাইল শহরের রাজধানী নার্সিং হোমে সিজারের মাধ্যমে জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম দেন সুমাইয়া আক্তার। শিশু দুটিকে দেখতে ঐ বাড়িতে ভিড় করছে প্রতিবেশীসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।

নবজাতক দুই শিশুর বাবা আরিফ হোসেন বলেন, ৬ তারিখ টাঙ্গাইলের রাজধানী নার্সিং হোমে আমার স্ত্রীর যমজ শিশু হয়। কিন্তু তাদের বুক একে অপরের সঙ্গে জোড়া লাগা। ক্লিনিকে নিবির পর্যবেক্ষণ না থাকায় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ৯ তারিখ বাসায় নিয়ে আসি। বাচ্চা দুটি এখন সুস্থ। বিকল্প পদ্ধতিতে তাদের খাওয়ানো হচ্ছে। স্ত্রী সুমাইয়াও সুস্থ আছেন।

তিনি আরো বলেন, আমি পেশায় দিনমুজর। আমরা গরিব মানুষ। ক্লিনিক থেকে বলেছে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা সম্ভব। কিন্তু এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। শিশু দুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে বিত্তবানসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

মা সুমাইয়া আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সন্তান দুটিকে আলাদা শরীরে দেখতে চাই। চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমার সামর্থ নেই চিকিৎসা করানোর। সরকারের কাছে নবজাতকদের উন্নত চিকিসার সব প্রকার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

সুবর্ণতলী গ্রামের বৃদ্ধা নুরজাহান বেগম বলেন, আমি জীবনেও জোড়া লাগা বাচ্চা দেখিনি। তাই দেখতে আসছি।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. লিংকু রাণী কর জানান, চিকিৎসা শাস্ত্রে এটিকে কনজয়েনড টুইন বেবি বা সংযুক্ত যমজ শিশু বলা হয়। এটি অবশ্যই জটিল একটি চিকিৎসা। অস্ত্রোপচার করা গেলে সফলতা সম্ভব।