আলকামা শিকদার, ঘাটাইল ডট কম
০৪ আগস্ট, ২০২২ / ৭৬ বার পঠিত
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় ভাতিজা বউকে নিয়ে চাচাশ্বশুরের উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ভাতিজা ঢাকায় চাকুরি করে। ভাতিজা বউ একাই থাকে বাড়ীতে। ভাতিজা বউ সুন্দরী হওয়ায় চাচাশ্বশুর তার রূপে মত্ত হওয়ায় ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাচা মিজানুর রহমান (৩৫) তার ভাতিজা বউকে নিয়ে উধাও হয়। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বানিয়াজান গ্রামে।
জানা যায়, একই গ্রামের মৃত শামেস আলীর ছেলে মিজানুর রহমান এক সন্তানের জনক ও ওই গৃহবধুরও ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
প্রতিবেশিরা জানায়, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী তাকে বাড়ীতে রেখে ঢাকায় থাকে। আর এ সুবাদে তার চাচা শ্বশুরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে এ অবস্থা বুঝতে পেরে মিজানুরের ১ম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে মিজানুর আবার বিয়ে করলে দ্বিতীয় স্ত্রীও মিজানুরের ভাতিজা বউয়ের সাথে পরকিয়ার কথা জানতে পেরে চলে যায়।
অপরদিকে এ পরকীয়ার কথা মেয়ের পরিবারকে জানালে কোন সুরাহা না হওয়ায় গত ১ জুলাই রাতে প্রতিবেশিরা মিজানুর ও ওই গৃহবধুকে মিজানুরের মুরগির খামারে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনেরা দুজনকে আটক করে। ওই গৃহবধুকে মিজানুরের বিয়ে করার জন্য কাজী খবর দিলে কাজি তাদের বিয়ে পরাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করে চলে যায়।
আর এ বিষয়টি সকালে জানাজানি হলে এলাকায় বিরাট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং গত ৩ জুলাই মিজানুর তার ওই ভাতিজা বউকে নিয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়েছে বলে বিষয়টি এলাকায় আরো মুখোরোচক হয়ে দাড়িয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মিজানুরের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাজী মকবুল হোসেন বলেন, ওই রাতের ঘটনাতে বিয়ে পরাতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। অপরাধ মুলক ঘটনা বলে চলে এসেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার ফটিক বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে, ছেলে মেয়ে দুজনই এলাকা থেকে উধাও হয়েছে। এলাকায় বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি একটি নেক্কারজনক ঘটনা।
আপনার মতামত লিখুন