টাঙ্গাইলের নাগরপুরসহ সারাদেশেই গত কয়েকদিন ধরে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। শীতের আগমনীর সাথে বিভিন্ন লেপ-তোষক কারিগরদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
নাগরপুর উপজেলাটি ধলেশ্বরী ও যমুনা নদী বেষ্ঠিত হওয়ায় ঘন কুয়াশা সহ শীতের তীব্রতা অনেক বেশি।
লেপ তোষকের কারিগর মোঃ বদ্ধু মিয়া বলেন, আমরা লেপ তোষক তৈরির কারিগররা অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। তবে চলতি মৌসুমে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ বেড়ে গেছে। আর একটি লেপ-তোষক বিক্রি করে তাদের ২’শ থেকে ৩’শ টাকা লাভ হয়। জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরিতে লাভ কিছুটা কম হলেও কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা এখন খুশি।
কাপড়ের মান বুঝেই লেপ-তোষকের দাম নির্ধারণ করা হয়। ৪-৫ হাত লেপের দাম পড়ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর তোষক তৈরিতে দাম পড়ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা বলে তিনি জানান।
তবে কোন কোন কারিগর বলছেন, এবার তুলার দাম বেশি। কালার তুলা প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিশালী তুলা ৪০ টাকা, সিম্পল তুলা ৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৩৫০ টাকা ও সাদা তুলা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তারা শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রি আরও বাড়বে এমনটিই প্রত্যাশা করছেন ।
(স্টাফ রিপোর্টার, ঘাটাইল ডট কম)/-